উপজেলার তারাপুর গ্রামের নৃপেন্দ্র নাথের ছেলে বিপুল চন্দ্র সরকার কুল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বর্তমানে তিনি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কুল চাষ করছেন। এক বিঘা জমিতে হাইব্রিড আম ও লিচুর পাশাপাশি কুল চাষ করছেন। আগে এ জমিতে তরি-তরকারি চাষ করে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করতেন। বিগত ২ বছর থেকে তিনি কুল চাষ শুরু করছেন। এ বছর একই জমিতে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকার কুল বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। তিনি বলেন, কুল চাষে খরচ কম, লাভ বেশি।
সুন্দরগঞ্জে কুল চাষ জনপ্রিয় হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের পল্লীতে বাণিজ্যিকভাবে হাইব্রিড জাতের কুল চাষ শুরু হয়েছে। অল্প সময়ে স্বল্প খরচে লাভজনক সুস্বাদু ফল কুল চাষের বিপ্লব ঘটাতে পারে চাষীরা। ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপক সাড়া পড়েছে উপজেলার হাটবাজারে। উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আফতাব হোসেন বলেন, শুধু ধান-পাট চাষের ওপর নির্ভর করলে চলবে না।
অল্প খরচে বেশি লাভজনক ফল কুল চাষের ওপর লোকজনকে উত্সাহিত করতে হবে। বিভিন্ন প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কুল চাষ করা হলে কৃষিখাতে খুলে যাবে এক অপার সম্ভাবনাময় খাত। একটি চারা ৬ মাস বয়সেই ফল দেয়া শুরু করে। একেকটি গাছ ৪০ থেকে ৫০ কেজি ফল দেয়। অনেক চাষী কুল চাষের পাশাপাশি অন্যান্য ফলের চাষও একই সঙ্গে করছেন। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা তথ্যপ্রযুক্তিগত জ্ঞান দান, ফলের বাগান পরিদর্শনপূর্বক উত্সাহ দিয়ে কুল চাষীদের আগ্রহী করে তোলা এবং পাশাপাশি সুদবিহীন ঋণ প্রদানের মাধ্যমে ভালো জাতের চারা সরবরাহের সহযোগিতা করে বেকার যুবকদের কুল চাষে মনোযোগী করতে পারলে উপজেলায় কুল চাষ বাড়বে এবং দারিদ্র্য বিমোচনে বিরাট অবদান রাখতে পারবে।