চামড়ার ওপর নিখুঁতভাবে নকশা তৈরি করেন নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার নারীরা। একটি হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠানে তাঁরা এ কাজ করেন। প্রতিদিন সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দরিদ্র নারীরা এখানে আসেন। তাঁদের কর্মচাঞ্চল্যে মুখরিত হয় পরিবেশ। আরএমএম ফ্যাশন নামে এই প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় তিন শ নারীর। এসব নারীর পরিবারে এখন ফিরে এসেছে সচ্ছলতা।
কারখানার ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান লিটন জানান, এখানে নিখুঁতভাবে নকশা করা চামড়াগুলো চীন, জাপান, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এতে একদিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে, অন্যদিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় করার সুযোগ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলায় যদি হস্তশিল্পের কারখানা গড়ে উঠত, তবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি গ্রামের অসহায় নারীরা আয়-রোজগারের পথ খুঁজে পেতেন। প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে দেখা গেছে, ময়না, চায়না, বেবি, সখিনা, সাবেরাসহ অনেকেই কাজ করছেন মনোযোগ দিয়ে। দেখা গেল তাঁরা চামড়ায় নিখুঁতভাবে নকশা করছেন। কয়েক বছর আগেও যাঁদের সংসারে অনেক কষ্ট ছিল, তাঁদেরই একজন বেবি জানান, এই চামড়ার ফ্যাক্টরিতে কাজ করায় এখন আর কারো কাছে হাত পাততে হয় না।