গলদা চিংড়ি - পুকুরে চাষে সাফল্য

পঞ্চগড়ের মৎস্যচাষিরা এই প্রথমবারের মতো মিঠাপানির পুকুরে কার্প ও গলদা চিংড়ির মিশ্র চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। বর্তমানে জেলার ৪০টি পুকুরে গলদা চিংড়ির চাষ হচ্ছে।

 

মৎস্যচাষি সূত্রে জানা গেছে, তাঁরা জেলার বোদা উপজেলা সদরের হ্যাচারি ও পার্বতীপুর হ্যাচারি থেকে পোনা সংগ্রহ করে মিঠা পানিতে গলদা চিংড়ির চাষ শুরু করেন। চিংড়ি চাষে বিশেষ কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। অন্যান্য কার্পজাতীয় মাছের সঙ্গে চিংড়ি সহজে মিশ্রভাবে চাষ করা যায় এবং খাদ্যের ক্ষেত্রেও বিশেষ কোনো পার্থক্য নেই। বাজারে পর্যাপ্ত চাহিদা থাকায় অন্যান্য মাছের তুলনায় পাঁচ-ছয় গুণ বেশি দাম পাওয়া যায়। জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার তীরনইহাট ইউনিয়নের চিংড়িচাষি সরদার আবতাব উদ্দীন বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে আমার পুকুরে গলদা চিংড়ির চাষ শুরু করি। মিঠা পানির পুকুরে চিংড়ির চাষ করা সম্ভব। বর্তমানে আমি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে একাধিক পুকুরে এই মাছ চাষ করছি। মাছের বৃদ্ধি অনেক ভালো। ইতিমধ্যে ডিম দেওয়াও শুরু হয়েছে। বাজারসহ জেলার বিভিন্ন হোটেলে আমার পুকুরের চিংড়ি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন আগ্রহী ক্রেতারা।’

 

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রায় ৪০টি পুকুরে গলদা চিংড়ির চাষ করা হচ্ছে। অনেক পুকুরের চিংড়ি বর্তমানে ডিম দেওয়া শুরু করেছে। গলদা চিংড়ি প্রায় সাড়া বছর প্রজননে সক্ষম হলেও জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসই গলদার প্রধান প্রজননের কাল। গলদা চিংড়ি পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যেই পরিপক্ব হয়ে একটি চিংড়ি ২০-৫০ হাজার ডিম দেয়। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা আবদুল লতিফ বলেন, গত বছর পরীক্ষামুলকভাবে কয়েকজন চাষিকে চিংড়ির পোনা দিয়ে এর চাষের সম্ভাবনা যাচাই করা হয়।এতে দেখা যায়, ছয় মাস বয়সী চিংড়িগুলো তরতাজা হয়ে বেড়ে উঠেছে। এদের গড় ওজন ১২০ থেকে ১৪০ গ্রাম পর্যন্ত হয়েছে। এই সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে জেলার ২৫ জন চাষিকে চিংড়ি চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।



HTML Counter © ২০১৩ আলোকিত গ্রামবাংলা
Powered by Ipsita Soft
Loading... Please wait...