মুরগি পালন

মুরগি পালন

 

হাজার হাজার গ্রাম নিয়ে বাংলাদেশ। এসব গ্রামের প্রায় প্রতিটি ঘরেই মানুষ মুরগি পালন করে। সাধারণত নারীরাই এই কাজটি করে থাকেন। হাঁস-মুরগি এবং ডিম বিক্রির টাকা থেকে তারা সংসারের অনেক খরচ মেটান। এছাড়া মুরগির মাংস আমাদেও আমিষ জাতিয় খাদ্যেও চাহিদা পূরণ করে। মুরগি বিষ্টা এবং হাড়েঁর গুঁড়া জমিতে সার হিসেবে ব্যবহার হয়। এর পাখনা দিয়ে তৈরি হয় ধুলোবালি ঝাড়ান। শুধু তাই নয় মুরগির নাড়ি-ভুঁড়ি মাছের একটি পছন্দেও খাবার।

 

পারিবারিক চাহিদা মেটাতে গ্রামের অনেকেই মুরগি পালন করেন। যা দিয়ে সারা দেশের চাহিদা মেটানো যায় না। তাই এখন গ্রাম এবং শহরের অনেকেই মুরগি পালন করেন। যা দিয়ে সারা দেশের চাহিদা মেটানো যায় না । তাই এখন  গ্রাম এবং শহরের অনেকেই ব্যবসা করার জন্য মুরগির খামার করছেন। এই খামারকে আমরা পোল্ট্রি ফার্ম বলে থাকি। আমরা নিজের বাড়িতে বা বাড়ির আশপাশে এরকম ফার্ম বা খামার গড়ে তুলতে পারি।


 

মুরগির খামার কেন করব

 

মুরগির খামার বা পোল্ট্রি ফার্ম করার উপকারিতা অনেক। যেমন-

 

  • কম সময় এবং পরিশ্রমে মুরগি উৎপাদন করা যায়।
  • এতে মানুষের দরকারি আমিষ এবং প্রোটিনের চাহিদা মেটে।
  • মাত্র দেড় থেকে তিন মাসের মধ্যে আয় উঠে আসে।
  • ২৫-৩০ হাজার টাকা হাতে নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করা যায়।
  • ফার্মে ১০০-১৫০টি মুরগি পালনের জন্য বাড়ির আশেপাশে মাত্র ২০ ফুট x ১০ ফুট জায়গা হলেই চলে।
  • মুরগির খামার পরিবারের লোক দিয়েই পরিচালনা করা যায়।
  • মুরগির মাংস এবং ডিমের পাশাপাশি মুরগির বিষ্টা জৈব সার হিসেবে বিক্রি করা যায়।

 

সুতরাং আমরা ব্যবসায়িকভাবে মুরগি পালনের কথা ভাবতে পারি।

 

মুরগির শ্রেনি বিভাগ

মুরগির খামারে মূলত দুই শ্রেণির মুরগি রাখা হয়। যেমন- ব্রয়লার ও লেয়ার। সাধারণত মাংসের জন্য পালন হয় ব্রয়লার । ডিম এর জন্য লেয়ার মুরগি ।



HTML Counter © ২০১৩ আলোকিত গ্রামবাংলা
Powered by Ipsita Soft
Loading... Please wait...