হাঁস - পালন

হাঁসের ঘর:

  • হাঁসের ঘরটি পানির উপর মাচা করে অথবা পাড়ে হওয়া বাঞ্চনীয়।
  • প্রতিটি হাঁসের জন্য ৩-৪ বর্গফুট স্থান ধরে নিয়ে ঘর বানানো যেতে পারে।
  • ঘরের উচ্চতা হবে ৪-৫ ফুট। ঘর তৈরীতে বাঁশ, টি, ছন, খড় ইত্যাদি দেশী সামগ্রী ব্যবহার করা যায়। মেঝেতে বাঁশের একটি বাতা হতে অন্য বাতার দুরুত্ব হবে ২ সে: মি:।
  • ঘর পাড়ে হলে হাঁসের বিষ্টা ও উচ্ছিষ্ট খাদ্য দ্রব্য সংগ্রহ করে পুকুরে ফেলতে হবে।
  • ইদুঁর, সাপ থেকে ঘরকে মুক্ত রাখতে হবে।

 

হাঁসের সংখ্য :

  • প্রতি ৫০ শতাংশে ১০০০টি হাঁস রাখা যেতে পারে (মাটিতে)।
  • পুকুরের গভীরতা ৫ ফুটের অধিক হলে এ সংখ্যা ১৫০০টিতে উন্নীত করা যায়।
  • প্রতি পুকুরে ২/১ টি পুরুষ হাঁস রাখা যায়। -পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকরে হবে।
  • ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ৩-৪ ঘন্টা কেরোসিনের বাতি দিয়ে আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।

 

হাঁসের জাত:

খাঁকি ক্যাম্বেল ও উন্ডিয়ান রানার জাতীয় হাঁস নির্বাচন করা উচিত, কেননা- এরা বছরে প্রায় ২৫০-৩০০টি ডিম দেয়। এদেশেরআবহাওয়া ও পরিবেশেষ এরা ভালভাবে টিকে থাকে। পাঁচ মাস বয়স থেকে দু থেকে আড়াই বছর পর্যন্ত লাভজনকভাবে ডিম দেয়।

 

খাদ্য পাত্র:

  • প্রতি ২০ টি হাঁসের জন্য ৩র্ দ্ধ র্৬র্ দ্ধ র্৬র্ মাপের পাত্রই যথেষ্ট।
  • পানি ও খাদ্য দ্রব্য আলাদা পাত্রে দেয়া উচিত।
  • প্রদিদিন খাদ্য পাত্রগুলো পরিস্কার করে ধুয়ে রাখা একান্ত পয়োজন।

 

হাঁসের খাদ্য:

  • হাঁসকে কখনই শুষ্ক খাদ্য না দিয়ে কিছুটা ভেজা খাদ্য দেওয়া উচিত।
  • খাদ্যে আমিষের পরিমাণ বাচ্চা হাঁসের ক্ষেত্রে ২১% ও ডিম দেওয়া হাসের জন্য ১৭-১৮% রাখা যেতে পারে।
  • হাঁস সাধারনত সকালে ডিম দেয়, ফলে সকাল ৯টার দিকে প্রথম খাবার দিয়ে পুকুরে ছাড়া যেতে পারে। যার পরিমান হবে ৩০ গ্রামপ্রতি হাঁস এবং বিকেলে ৩৫ গ্রাম প্রতিটি হাঁসকে দিতে হবে।

 

হাঁসের সংক্রামক রোগ:

 

হাঁসের প্লেগ:

সাঁতার কাটতে চায়না, তৃঞ্চা বৃদ্ধি পায়, ঝিমায়, নাক দিয়ে পানি ঝড়ে, সবুজ হলুদ রং এর পাতলা পায়খান কে পালক এলোমেলো হয়ে পড়ে।

 

হাঁসের কলেরা:

পাতলা পায়খানা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, মুখ দিয়ে পানি ঝরা, মাথা ও হাঁটু ফুলে যায়।

 

কৃমি রোগ:

ওজন কমে যায়, হাঁস দূর্বল হয়ে পড়ে।

 

প্রতিকারঃ-

 

হাঁসের প্লেগ ভ্যাকসিন :

জম্নের ৩০দিন বয়সে প্রথমবার। জম্নের ৫২ দিন পর দ্বিতীয়বার এবং প্রতি ৬ মাস অন্তর প্লেগ ভ্যাকসিন দিতে হবে।

 

কলেরা ভ্যাকসিন:

জম্নের ৬ সপ্তাহ বয়সে প্রথমবার এবং প্রতি ৬ মাস অন্তর কলেরা ভ্যাকসিন দিতে হয়।

 

ইউভিনল এভিপার:

৪ মাস বয়সে প্রথমবার এবং প্রতি ৬ মাস অন্তর দিতে হবে।

গবেষনা করে হাঁসের একটি সুষম খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে বানিজ্যিকভাবে হাঁস পালনের জন্য

-গম ৫০% ।

-চালের গুড়া ১৬%।

-খৈল ৯%।

-ফিসমিল ১০%।

-নারকেল খৈল ১৩%।

-সয়াবিন তৈল ১%।

-ভিটামিন প্রিমিক্স ০.৩০%।

-লবন ০.৫০%।

-ঝিনুক চুর্ণ ১.০০%।

 

উন্নত জাতের হাঁস/হাঁসের বাচ্চা প্রাপ্তির স্থানঃ

নারায়নগঞ্জ হাঁস প্রজনন খামার। দৌলতপুর হাঁস খামার। এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাঁস-মুরগী খামার হতে প্রয়োজনঅনুযায়ী হাঁস বা হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করা যেতে পারে।



HTML Counter © ২০১৩ আলোকিত গ্রামবাংলা
Powered by Ipsita Soft
Loading... Please wait...